ভিডিও কনফান্সের মাধ্যমে বিয়ের নামে এক সৌদি প্রবাসীর কাছ থেকে প্রতারণা করে ২৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে সোমবার রাতে জয়পুরহাটের সীমান্তবর্তী পাঁচবিবি উপজেলার মালঞ্চা গ্রাম থেকে কথিত স্ত্রী, তার বাবা ও মাকে আটক করেছে থানা পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন- পাঁচবিবি উপজেলার মালঞ্চা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য ইমদাদুল হক (৫৭), তার স্ত্রী রুবিনা বেগম (৪৬) ও তাদের মেয়ে কথিত বিয়ের কনে শবনম মুস্তারী এমি (২২)।
পাঁচবিবি থানার ওসি ফরিদ হোসেন জানান, লক্ষীপুরের রায়পুর উপজেলার দক্ষিন চর মোহনা গ্রামের কাজী আয়াতুল্লার ছেলে সৌদি প্রবাসী যুবক কাজী হারুন সাগরের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম- ফেসবুকে সুন্দরী শবনম মুস্তারী এমি’র পরিচয় হয়।
এরপর শবনম মুস্তারী এমি তার সঙ্গে প্রেমের অভিনয় করতে থাকে। এরই এক পর্যায়ে মোবাইল ফোনে ভিডিও কনফান্সের মাধ্যমে বিয়ের নাটক সাজিয়ে দীর্ঘ ৪ বছরে সৌদি আরব থেকে ওয়েষ্টার্ন ইউনিয়ন ও বিকাশের মাধ্যমে ওই সৌদি প্রবাসী যুবক কাজী হারুন সাগরের পাঠানো ২৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন শবনম মুস্তারী এমি ও তার বাবা-মা।
গত ১৫ডিসেম্বর কাজী হারুন সাগর দেশে ফিরে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার মালঞ্চা গ্রামে কথিত শ্বশুর বাড়িতে আসলে তার কথিত স্ত্রী শবনম মুস্তারী এমি ও তার বাবা-মা ওই বিয়ের কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন।
এ অবস্থায় বাধ্য হয়ে ওই প্রবাসী যুবক প্রেম ও বিয়ের নামে ওই পরিবারের সঙ্গে তার র্দীঘ দিনের যোগাযোগ, শবনম মুস্তারী এমির সঙ্গে ভিডিও কনফান্সের মাধ্যমে বিয়ে ও বিভিন্ন সময়ে তাদের টাকা পাঠানোর প্রমানাদিসহ পাঁচবিবি থানায় প্রতারণার একটি মামলা দায়ের করেন।
প্রাথমিক তদন্তে তার অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় সোমবার রাতে মালঞ্চা গ্রামে আকস্মিক অভিযান চালিয়ে পুলিশ শবনম মুস্তারী এমি,তার বাবা অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য ইমদাদুল হক ও মা রুবিনা বেগমকে তাদের নিজ বাড়ি থেকে আটক করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।