কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: উলিপুরে প্রতারণা ও জালিয়াতির মামলায় এক কলেজ অধ্যক্ষকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে আদালত।
রোববার সিনিয়র চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মিজানুর রহমান এ আদেশ দেন।
আদালত সুত্রে জানা গেছে কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বজরা কলেজের অধ্যক্ষ মাজেদুল ইসলাম মিলন কলেজের ৬ জন শিক্ষক কর্মচারীর ভুয়া ইস্তোফাপত্র তৈরী করে তাদের স্থলে শিক্ষক নিয়োগ, জাল স্বাক্ষরের মাধ্যমে ভুয়া রেজুলেশন তৈরী এবং স্থানীয় জনৈক সওকত আলীকে জাল দলিলের মাধ্যমে ভুয়া দাতা সদস্য বানান। এ ঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে অবিভাবক ও কলেজের শিক্ষকদের মাঝে তোলপাড় শুরু হয়। এ সব অনিয়ম, জালিয়াতি ও প্রতারনার বিরুদ্ধে একের পর এক প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন করেন শিক্ষকসহ এলাকার মানুষজন। প্রতারণার শিকার শিক্ষকরা তাদের স্বাক্ষর জাল করে প্রতারণা ও জাল দলিল সৃষ্টির অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করলে আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে উলিপুর থানাকে মামলা রেকর্ড করে তদন্ত প্রতিবেদন প্রদানের আদেশ দেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা অফিসার্স ইনচার্জ (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম দীর্ঘ তদন্ত শেষে আদালতে সম্প্রতি অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
রোববার সিনিয়র চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ মাজেদুল ইসলাম মিলন ও ভুয়া দাতা সদস্য সওকত আলী হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে বিজ্ঞ বিচারক তা না মঞ্জুর করে তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেন। এ দিকে দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষ ও ভুয়াদাতা সদস্য আটকের সংবাদ বজরা এলাকায় পৌছিলে ভুক্তভুগিরা মিষ্টি বিতরণ করেন। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চানচল্যের সৃষ্টি হয়েছে।